রংপুরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে হোটেল শ্রমিকদের আন্দোলন

(উত্তর বাংলা)
রংপুর বিভাগঃ বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ৭দফা দাবী
আদায়ের লক্ষ্যে বুধবার রংপুর মহানগরীতে
অর্ধদিবস কর্ম বিরতির কর্মসূচী পালন করেন
রংপুর জেলা রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়ন।
কর্মসূচী পালনকালে পুলিশের হাতে আটক
৭জন। প্রতিবাদে রংপুর কোতয়ালী থানায়
রংপুরের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সমূহের
নেতৃবৃন্দের অবস্থান।
সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ
কর্মসূচীতে প্রথমেই বাধা হয়ে দাড়ায় পুলিশ।
রংপুর মহানগরীর অধিকাংশ খাবার হোটেল
গুলোতে শ্রমিকরা যোগদান না করে তাদের
ন্যায্য দাবী আদায়ের কর্মসূচী পালনের
লক্ষ্যে সকাল থেকে নগরীর প্রধান প্রধান
সড়ক ও খাবার হোটেল গুলোর সামনে অবস্থান
নেন তারা।
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী চলাকালিন সকাল ৬টা ৪০মিনিটে
নগরীর পায়রা চত্ত্বর থেকে সংগঠনের
৪নেতাসহ ৭জনকে আটক করেন রংপুর
কোতয়ালী থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, রংপুর
জেলা রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক
সম্পাদক মোকছেদ আলী, সহ-সাংগঠনিক
সম্পাদক নির্মল চন্দ্র রায়, ক্রীড়া সম্পাদক হামিদুল
ইসলাম, কার্যকরী সদস্য বাবু মিয়া, শফিকুল ইসলাম,
আমজাদ হোসেন ও মোবারক আলী।
এ খবর নগর জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে রংপুরের
বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা ছুটে
আসেন পায়রা চত্ত্বরে। পরে তারা রংপুর পাবলিক
লাইব্রেরী মাঠে গিয়ে সমবেত হন। রংপুরের
অধিকাংশ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও হোটেল
শ্রমিকরা একটি বিশাল মিছিল নিয়ে রংপুর কোতয়ালী
থানায় উপস্থিত হয় সকাল ১০টায়। সেখানে তারা প্রায়
১ ঘন্টা অবস্থান করেন। পরে রংপুর কোতয়ালী
থানায় আটককৃত শ্রমিক নেতাদের ছেড়ে দিলে
তাদের নিয়ে পূণরায় মিছিল সহকারে পাবলিক
লাইব্রেরী মাঠে ফিরে আসেন তারা। এ সময়
এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর জেলা রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়নের
সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত
ট্রেড ইউনিয়ন ঐক্য পরিষদ রংপুরের মহাসচিব ও
রংপুর বিভাগীয় শহর ইমারত নির্মাণ শ্রমিক
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিন কাজল,
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন রংপুর জেলার
সম্পাদক অশোক সরকার, রংপুর জেলা মটর শ্রমিক
ইউনিয়নের কার্য্যকরী সভাপতি আনোয়ারুল
ইসলাম রাজা, সম্মিলিত ট্রেড ইউনিয়ন ঐক্য পরিষদ
রংপুরের ভাইস চেয়ারম্যান ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন
যৌথ সংগ্রাম পরিষদ রংপুরের সভাপতি ও রংপুর
দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জাহেরুল
ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক পার্টি রংপুর মহানগর কমিটির
সাধারণ সম্পাদক মজাহারুল ইসলাম মন্টু, রংপুর মহানগর
স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক
আতিকুর রহমান হিরু, রংপুর ঠেলা ভ্যান শ্রমিক
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ দাস, রংপুর
দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক
মেহেদী হাসান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক
মোহাম্মদ নাসিম, দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি
শফিকুল ইসলাম শফি, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ
হোসেন টিংকু, রংপুর জেলা রেস্তোরা শ্রমিক
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, মহানগর
রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইব্রাহিম
খলিল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।
সভায় বক্তারা, অনতিবিলম্বে হোটেল
শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র
প্রদান, দৈনিক ৮ঘন্টা কর্ম নির্ধারণ, অতিরিক্ত
কাজের জন্য ওভারটাইম, ঈদ ও পূজায় ছুটিসহ উৎসব
ভাতা প্রদান, মালিক শ্রমিক সমন্বয়ে কল্যাণ তহবিল
গঠন, বর্তমান দ্রব্যমূলের সাথে সংহতি রেখে
শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি এবং মহান মে দিবসে
স্ব-বেতনসহ একদিনের ছুটির দাবী সমূহ
বাস্তবায়নের জন্য রংপুরের জেলা প্রশাসন ও
জেলা রেস্তোরা মালিকদের প্রতি আহবান
জানানো হয়। অন্যথায় পরবর্তীতে রংপুরের
সকল শ্রমিক সংগঠন সমূহকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর
আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।

Post a Comment

0 Comments