অনলাইন ডেস্ক |
আন্তর্জাতিকঃ তুরস্কের গণভোট নিয়ে সমাবেশের আয়োজন ও দেশটির এক মন্ত্রীকে নেদারল্যান্ডস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডাচ দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
নেদারল্যান্ডসের রটারডাম শহরে তুরস্কের
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ডাচ দাঙ্গা পুলিশের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় তুরস্কের
কনস্যুলেট কার্যালয়ের বাইরে জলকামান ও ঘোড়সওয়ারি পুলিশ কমপক্ষে এক হাজার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। খবর আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও
বাড়ানোর লক্ষ্যে গণভোটে প্রবাসীদের
সমর্থন পেতে সমাবেশে অংশ নিতে
নেদারল্যান্ডস এসেছিলেন তুরস্কের পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী ফাতমা বেতুল সায়ান কায়া। তিনি পূর্বনির্ধারিত সমাবেশে যোগ দিতে সড়কপথে গতকাল শনিবার
নেদারল্যান্ডস আসেন। কিন্তু রটারডামে তুরস্কের কনস্যুলেট কার্যালয়ে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরে তাঁকে পুলিশ পাহারায় জার্মান সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সকালে ডাচ প্রধানমন্ত্রী
মার্ক রুট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডাচ সরকার জানিয়েছে, দেশটিতে জাতীয়
নির্বাচনের আগের দিন এ ধরনের র্যালি
উসকানিমূলক। এর আগে নেদারল্যান্ডস তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলভুত কাভুসগলুকে
উড়োজাহাজে করে দেশটিতে প্রবেশে বাধা
দেয়। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের মেটজ শহরে
আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিতে তিনি এখন সেখানে আছেন।
এদিকে তুরস্কের পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী ফাতমা বেতুল সায়ান কায়া নেদারল্যান্ডস থেকে তাঁকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রের নামে এ
ধরনের চরম প্রতিক্রিয়াশীল আচরণের বিরুদ্ধে বিশ্বের অবশ্যই অবস্থান নিতে হবে! একজন নারী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এটাকে ‘অগ্রহণযোগ্য আচরণ’ উল্লেখ করে
আজ তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম
বলেছেন, তুরস্ক এর ‘কড়া’ জবাব দেবে।
তুরস্কের হারিয়ট পত্রিকা জানিয়েছে, তুরস্কের ওই মন্ত্রী জার্মানির কোলন থেকে উড়োজাহাজে ইস্তাম্বুল পৌঁছেছেন।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান র্যালি আয়োজনে বাধা দেওয়ায় ডাচ সরকারের নিন্দা জানান।
বিবিসির তুরস্ক প্রতিবেদক মার্ক লোয়েন
জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার পরিবর্তে
যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রজাতন্ত্রে
ফিরে যাওয়ার জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল তুরস্কে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে সমর্থন পেলে প্রেসিডেন্ট নতুনভাবে ক্ষমতায়িত হবেন। মন্ত্রী নিয়োগ, বাজেট প্রস্তুত, সংখ্যাগরিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ বিচারক বাছাই এবং কিছু আইন কার্যকর করতে অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা পাবেন প্রেসিডেন্ট।
0 Comments
[আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সেয়ার করুন]